সোনাক্ষি সিনহার জন্য বাবা সেলিম খান, ভাই আরবাজ এবং সোহেলের সঙ্গে মিলে নাকি সালমান ধর্ষণ করেছিলেন মডেল-অভিনেত্রী পূজা মিশ্রকে। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন পূজা নিজেই।
১৯৮২ সালের ১১ মার্চ বিহারের মুঙ্গেরে জন্ম নেন পূজা। ছোট খাট মডেলিং দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করলেও টিভিতে তার আত্মপ্রকাশ এক টিভি শো’র মধ্য দিয়েই। সেই টক শো’তে প্রতিযোগীদের সম্পর্ক নিয়ে নানা পরামর্শ দিতেন পূজা।
এরপর ‘মেরে দিল লেকে দেখো’ নামে একটা ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন পূজা। বিগ বস-৫ সিজনেও তাকে দেখা গিয়েছিল প্রতিযোগী হিসেবে। কিন্তু সেখানেও সহ প্রতিযোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় তাকে সেই শো থেকে বের করে দেওয়া হয়।
২০১৭-১৮ সালে সারা বিশ্বে যখন #মিটু ঝড় উঠেছে তখন বলি অভিনেত্রীরাও একে একে মুখ খুলতে থাকেন ক্রমশ। আর সেই সময়েই মুখ খোলেন পূজাও। সরাসরি আঙুল তোলেন বলিউডের ‘খান’ দানের দিকে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পূজা বলেন, গত দশ বছর ধরে তার কেরিয়ার ইচ্ছে করে নষ্ট করে আসছেন খান পরিবার। ২০০৯’তে ‘দাবাং’ ছবিতে চরিত্র দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ফার্ম হাউজে নাকি পুরো খান পরিবার তাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করতো, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, একই ঘরে সালমান, আরবাজ এবং সোহেল এবং তাদের বাবা সেলিম খান মিলে ধর্ষণ করেছিলেন তাকে। ঘরে উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহাও।
মেয়ে সোনাক্ষিকে যাতে ‘দাবাং’ ছবিতে কাস্ট করা হয় সেই কারণেই নাকি এই পাশবিক কাজে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনিও।
শুধু খান পরিবারের উপরেই নয়। পূজা আঙুল তুলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার দিকেও। তার অভিযোগ ছিল পূজার কেরিয়ার নষ্ট করার জন্য নাকি ব্ল্যাক ম্যাজিকও করেছিলেন তারা। সে কারণেই নাকি তিনি দুঃস্বপ্ন দেখতেন, তার মনে হতো কোনও কালো ছায়া তাকে ঘিরে আছে সবসময়।
এখানেই শেষ নয়, খান পরিবারের প্রাক্তন বধু মালাইকা অরোরাকেও আক্রমণ করেছিলেন পূজা। মালাইকা নাকি তার আইডিয়া চুরি করেছেন এমনই অভিযোগ ছিল তার।
সে সময় থানায় খানদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন পূজা। সেই ছবি শেয়ার করেছিলেন তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও। বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে কেঁপে উঠেছিল বি-টাউন।
যদিও গোটা ঘটনাটী নিয়ে আজ পর্যন্ত মুখ খোলেননি সালমান, সেলিমরা। তবে খেসারত দিতে হয়েছিল পূজাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্টো তিনিই ট্রোলড হয়েছিলেন।
তার মানসিক সমস্যা রয়েছে, প্রচারের আলোতে থাকার জন্যই এমনটা করছেন তিনি, এমনটাই বলেছিলেন সাধারণ মানুষ। যেটুকু যা কাজ করতেন বলিউডে তাও ক্রমে চলে যেতে থাকে পূজার কাজ থেকে।
যদিও নিজের ইউটিউবে আজও তিনি সক্রিয়। মাঝে মাঝেই পোস্ট করেন নিজের কথা। তার চ্যানেল ঘাঁটলে আজও দেখা যাবে পূজার সেই সব বোমা ফাটান ভিডিওগুলো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন