ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই ছিল
পাত্র-পাত্রীর বিয়ে। অনেক আগে থেকেই এই বিয়ে ঠিক। কিন্তু বিয়ের আগেই ঘটলো
বড় অঘটন। বিয়েতে ছেদ ফেলে দিলেন তাদের অভিভাবকরা। সম্প্রতি ভারতের সুরাটে
কনের মাকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন বরের বাবা।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা
যায়, গত এক বছর ধরে ওই যুবক ও যুবতির পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়।
দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তাদের এনগেজমেন্টও হয়ে যায়। তারা একই
সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ফলে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু বিয়ের একমাস আগেই ঘটল
গণ্ডগোল। ১০ জানুয়ারি থেকে পাত্রের বাবা রাকেশের (নাম পরিবর্তিত) কোনো খোঁজ
পাওয়া যাচ্ছে না। পেশায় তিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী। এছাড়া একটি রাজনৈতিক দলের
সঙ্গেও যুক্ত তিনি। পাত্রীর মা স্বাতীর (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে তার পরিচয়
অনেক আগে থেকেই। ছোটবেলায় রাকেশ ও স্বাতী আমরেলি জেলায় থাকতেন। একে অপরের
প্রতিবেশি ছিলেন তারা। তখন থেকেই তাদের মধ্যে প্রেম। কিন্তু তাদের বিয়ে
হয়নি।
ঘটনাচক্রে এক বছর আগে রাকেশের ছেলের সঙ্গে
স্বাতীর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। ফের কাছাকাছি আসেন রাকেশ ও স্বাতী।
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তাদের ছেলেমেয়ের বিয়ের দিন স্থির হয়। কিন্তু
তার আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান রাকেশ। এদিকে, ওই একই দিন থেকে খোঁজ নেই
স্বাতীরও।
কেউ কেউ বলছেন, এত বছর পর পুরনো প্রেম
জেগে ওঠেছে। একসময় যে প্রেম বড়দের জন্য পূর্ণতা পায়নি, এবার নিজেরাই সেই
প্রেমকে চরিতার্থ করতে উদ্যত হয়েছেন। তাই বেয়াই-বেয়ান হওয়ার আগে পালিয়ে
স্বামী-স্ত্রী হয়ে গিয়েছেন তারা। বিয়ে করে ফেলেছেন। যদিও রাকেশের ছেলে ও
স্বাতীর মেয়ে কিন্তু এ ব্যাপারে একেবারে চুপ। বাবা-মায়ের জন্য তাদের
নিজেদের প্রেমের তরী তো ডোবার পথে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন