করোনার মধ্যেই মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন!
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে একটানা বন্ধের পর মদের দোকান খুলতেই তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ। মানুষের ভিড়ে অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিলো অনেক দোকানই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
লকডাউনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আর সবকিছুর মতো মদের দোকানও বন্ধ। তবে সোমবার সকালে মদের দোকান খুলেছে। খোলার আগ থেকে সেগুলোর সামনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়।
কয়েকটি রাজ্যের ঘটনা তুলে ধরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনার মধ্যে গা গিজগিজ করা ভিড়ের কারণে অনেক মদের দোকান খোলার পরপরই আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দিল্লির একটি মদের দোকানের সামনে লোকজনের উপস্থিতি দেখে মনে হবে যেন তারা রেশন বা ত্রাণ নিতে হাজির হয়েছেন। মদ কিনতেই এসব দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষজন সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় করতে থাকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাত গত সপ্তাহে ভারতজুড়ে লকডাউন ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো বাদে বিভিন্ন রাজ্যের স্বতন্ত্র মদের দোকানগুলো খোলা যেতে পারে বলে জানিয়েছে। তবে শহুরে অঞ্চলের বাজার এবং মলগুলোতে থাকা মদের দোকান খোলা যাবে না।
সোমবার ভারতের রাজধানী দিল্লির ৯০টির বেশি জোনে প্রায় একশ মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল। এদিন সকালে দিল্লিতে মদের দোকানগুলোর বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশকেও বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে ভারতের সরকার থেকে বলা হচ্ছে, কমপক্ষে ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোককে দোকানের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। সবশেষ তথ্য অনুসারে ভারতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার তিনশর বেশি।
এদিকে অন্য রাজ্যগুলোর মতো পশ্চিমবঙ্গেও মদের দোকানে সকাল থেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে লোকজন। যদিও মমতার নেতৃত্বাধীন এই রাজ্যের সরকারের তরফে মদের দোকান খোলার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা ছিলো না। কালীঘাট এলাকার একটি মদের দোকানের বাইরে জড়ো হওয়া লোকজনকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার ভিডিও বিভিন্ন টিভিতে দেখা গেছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন