An Images

আজিব নিউজ ডেস্ক: আজব কাণ্ড অসমে। যুবকের মূত্রথলিতে মিলল মোবাইল চার্জার। রোগীর দাবি ছিল, তিনি নাকি চার্জারটি গিলে ফেলেছেন। পরে বোঝা যায়, ডাহা মিথ্যে বলছেন রোগী। বরং পুরুষাঙ্গের মধ্যে দিয়ে চার্জারের তারটি ঢুকিয়েছিল সে। অবশেষে অস্ত্রোপচার করে চার্জারটি বের করা হয়েছে। তবে বছর তিরিশের যুবকের এহেন কাণ্ডে চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের। প্রশ্ন উঠছে রোগীর মানসিক ভারসাম্য নিয়েও। তবে রোগীর নির্বিকার দাবি, যৌনতৃপ্তি পেতে তিনি মাঝেমধ্যেই এ হেন কান্ড করেন।
গুয়াহাটির এক ডাক্তার ওয়াল্লিয়ুল ইসলাম জানান, দিন কয়েক আগে ওই যুবক তাঁর কাছে এসে জানান, পেটে ব্যথা হচ্ছে। মোবাইল চার্জারের তার গিলে খেয়ে ফেলেছে। তার পাকস্থলীতে অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশন টেবিলে ডাক্তারদের মাথায় হাত, পাকস্থলীতে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর এক্স-রে করতেই আসল তথ্য সামনে আসে। রোগীর পেটে নয়, চার্জারটি মূত্রথলিতে আটকে আছে। আর ওই যুবক মোটেই চার্জারটি গিলে খাননি, বরং পুরুষাঙ্গের ছিদ্র দিয়ে চার্জারটি শরীরের ভিতরে ঢুকিয়েছিলেন।
ডাক্তারবাবুর আক্ষেপ, রোগী প্রথমেই সত্যি কথা বললে, অপারেশন করতে হত না। বদলে যে পথে চার্জারটি সে ঢুকিয়েছিল, সেই পথেই তা বের করা হত। পরে অবশ্য মূত্রথলি থেকে চার্জারের তারটি বের করা হয়। এখন ওই যুবক সুস্থই আছেন বলে জানিয়েছেন ওয়াল্লিয়ুল ইসলাম। সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গোটা ঘটনার কথা জানান তিনি।

জানা গিয়েছে, ওই যুবক যৌনতৃপ্তির পাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই পুরুষাঙ্গের ছিদ্র দিয়ে বিভিন্ন জিনিস শরীরে ঢোকাত। এই ধরণের যৌনতাকে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘urethral masturbation or urethral sounding’ বলা হয়ে তাকে। এবারও সেই কান্ড করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে ওই যুবক।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন