বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীরা রাতের সময়টিতে যৌন উত্তেজনা বোধ করেন। তবে পুরুষরা করেন সকালের দিকে। রাতের সময়টি যৌনতার জন্যে আদর্শ সময় মনে করা হলেও পুরুষদের কেন এমন হয়? এর উত্তর জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। একদিনের বিভিন্ন সময়ে নারী-পুরুষের দেহে যৌন অনুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন ক্ষরণের মাত্রা নিয়েও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১. ভোর ৫টা : এ সময় পুরুষরা ঘুম থেকে না উঠলেও সেক্স হরমোন টেস্টোসটেরনের ক্ষরণ অন্যান্য সময়ের তুলনায় ২৫-৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই হরমোনের ক্ষরণ ঘটে রাত থেকে এবং তা সকাল পর্যন্ত চলে।
২. ভোট ৬টা : গভীর একটা ঘুমের পর যৌন উত্তেজনা দারুণভাবে অনুভূত হয়। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, রাতে টানা ৫ ঘণ্টা ঘুমের কারণে সেক্স হরমোনের ক্ষরণ ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
৩. সকাল ৭টা : এ সময়ে প্রায় সবাই ঘুম থেকে উঠে যান। পুরুষদের ঘুম থেকে ওঠার পর সেক্স হরমোন সবচেয়ে বেশি থাকে। আবার এ সময়টিতে মেয়েদের থাকে সবচেয়ে কম। তবে রাত যত আসতে থাকে নারীদের হরমোন ক্ষরণের মাত্রাও তত বাড়তে থাকে বলে জানান ওয়েস্ট বার্মিংহাম হসপিটালের গাইনকোলজিস্ট গ্যাব্রিয়েলে ডাউনি।
৪. সকাল ৮টা : পুরোপুরি সজাগ হওয়ার পর স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষণ বাড়তে থাকে এবং সেক্স হরমোনের প্রভাব করতে থাকে।
৫. দুপুর ১২টা : এ সময় সুন্দরী রমনী দেখলে মস্তিষ্কে ভালো বোধ হয়। তবে তখন এন্ডোফিনস হরমোনের নির্গত হয়। তবে এ সময় সেক্স হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধিতে বেশ সময় ব্যয় হয়।
৬. দুপুর ১টা : এ সময় নারীরা কোনো সুদর্শন কলিগের সঙ্গে লাঞ্চে বসলেও তাদের উত্তজেনা খুব বেশি একটা থাকে না। আবার পুরুষের সঙ্গিনী সুন্দরী হলেও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে নারীরা তার প্রেমিক বা সঙ্গীর সঙ্গ পেলেই সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
৭. সন্ধ্যা ৬টা : এ সময় পুরুষদের যৌন অনুভূতি কমতে থাকে। তবে নারীদের কিছুটা বাড়তে শুরু করে। তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়, দৈহিক পরিশ্রমের পর নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন অনুভূতি বাড়তে পারে।
৮. সন্ধ্যা ৭টা : দিনের কাজ শেষে বিশ্রামের সময়। জাপানের এক গবেষণায় বলা হয়, এ সময় হালকা মিষ্টি সঙ্গীতও যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৯. রাত ৮টা : ধরুন, প্রিয় দলের খেলা হয়েছে। এ বিষয়টিও সেক্স হরমোনে প্রভাব ফেলে। ইউতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, প্রিয় দল জিতে গেলে পুরুষদের যৌন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা ২০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
১০. রাত ১০টা : এখন পুরুষের টেস্টোসটেরন হরমোনের মাত্রা সবচেয়ে কম। কিন্তু তারপরও বিকালে নারীদের চেয়ে বেশি মাত্রা দেখা যায় পুরুষদের মধ্যে। তবে এখন নারীদের দেহে হরমোনের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই ভালোবাসাপূর্ণ সময় কাটাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাদের দেহ। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন